ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৪-০৬-২০২৫ ০৬:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০৬-২০২৫ ০৮:৩২:৪৭ অপরাহ্ন
মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ছবি
দ্রুত ও কম খরচে মামলা নিষ্পত্তি, মানবাধিকার নিশ্চিত ও মানুষকে মামলার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।তিনি বলেন, আদালতে মামলার যে অস্বাভাবিক চাপ, তা শুধু বিচারিক কাঠামোকে নয়, ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সম্ভাবনাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। নতুন মামলার চাপ কমানো সময়ের দাবি। এ চাপ কমাতে হলে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য মামলা দায়েরের পূর্বে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সম্মেলন কক্ষে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।আইন উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের জন্য তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে অল্প খরচে মামলা নিষ্পত্তি করা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং মামলার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া।জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার চেয়ারম্যান ড. আসিফ নজরুল বলেন, মামলার প্রবহমান ও অস্বাভাবিক চাপ কমানোর জন্য আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এ লক্ষ্যে দ্রুত কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রতি বছর দেশের আদালতগুলোতে দায়েরকৃত প্রায় পাঁচ লাখ মামলার মধ্যে মাত্র ৩৫ হাজার মামলা সরকারি লিগ্যাল এইড সার্ভিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। মামলা নিষ্পত্তিতে আদালতে যে সময় ব্যয় হয়, তার এক-দশমাংশ সময়ের মাধ্যমে লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে এসব বিরোধ ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে পক্ষগুলোর পূর্ণ সন্তুষ্টিতে নিষ্পত্তি করা হয়।তিনি বলেন, সরকারি আইনগত সহায়তা কর্মসূচিকে আরও সম্প্রসারিত, দক্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারলে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মীমাংসিত মামলার সংখ্যা এক থেকে দুই লাখে নিয়ে আসা যাবে। এটি করা গেলে মামলা দায়েরের পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমে যাবে।তিনি আরও বলেন, প্রথম থেকেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপারে তিনটি টার্গেট করেছি। এর প্রথমটি হচ্ছে, দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে ও অল্প খরচে মামলার নিষ্পত্তি করা। এই লক্ষ্যে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পরিবর্তন করেছি, সেটি হলো- দেওয়ানি কার্যবিধির পরিবর্তন । সেইসঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করি, আগামী এক মাসের মধ্যে এটি আইন আকারে পাস করতে পারবো।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো- ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং এর জন্য আমরা ডিজিটালাইজেশনের কথা চিন্তা করছি। এ লক্ষ্যে আমাদের বিচারকদের উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণের কথা ও তাদের অ্যাকাউন্টেবিলিটি বাড়ানোর কথা চিন্তা করছি। বিচারক বা আইন বিভাগে কর্মরতদের সবার সম্পদের বিবরণী আমরা সংগ্রহ করেছি, সেটা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কাজ করবো। সেইসঙ্গে আইনজীবীদের সঙ্গে কাজ করে আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ